শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ - ১৩:০৮
ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য হলো জনসেবা

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান আয়াতুল্লাহ আলিরেজা আরাফি বলেছেন, হাওজায়ে ইলমিয়া প্রতিষ্ঠার মূল দর্শন হলো মানুষের সেবা করা এবং তাদের চিন্তাগত ও সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণ করা।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুলৃলাহ আরাফি বলেন, আমাদের হাওজায়ে ইলমিয়াকে সমাজ ও ইসলামি বিপ্লবের আদর্শের সেবায় নিয়োজিত করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে সমন্বিত প্রচেষ্টা ও সম্মিলিত চিন্তার প্রয়োজন।

তিনি তেহরানের মরহুম আয়াতুল্লাহ ব্রুজার্দি (রহ.)-এর নামে নামাঙ্কিত মাদ্রাসার সম্মেলন কক্ষে এক সভায় এ কথা বলেন। এতে তেহরানের নির্বাহী ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা, প্রাদেশিক সংসদ সদস্য এবং হাওজা-সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রাদেশিক সফরে সমন্বয় জোরদারের কথা 
আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন, প্রদেশগুলোতে সফরের সময় আমরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে হাওজার বাইরের সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। হাওজার মূল লক্ষ্য হলো জনসেবা। একে সমাজ ও বিপ্লবের মহৎ উদ্দেশ্যে কাজে লাগাতে হবে, যা অর্জনে আমাদের সম্মিলিত চিন্তা ও সমন্বয় প্রয়োজন। 

তেহরানের বিশেষ অবস্থান ও হাওজার উন্নয়ন
তিনি বলেন, তেহরান দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে স্বতন্ত্র। তাই এখানকার সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও হাওজার কার্যক্রমও ভিন্ন। ইতিহাসে আমরা অনেক বড় ও গভীর হাওজা দেখেছি, যা পুনরুজ্জীবন দরকার। আমাদের নীতি হলো সব অঞ্চলে হাওজার উন্নয়ন করা।

তিনি আরও বলেন, তেহরানে হাওজার পুনর্জাগরণ, উন্নয়ন ও গভীরতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। হাওজাকে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে, জ্ঞানচর্চা ও গবেষণায় অবদান রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি হলেও আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

মসজিদকেন্দ্রিক কর্মসূচির ওপর জোর
আয়াতুল্লাহ আরাফি মসজিদভিত্তিক কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিয়ে বলেন, প্রতি হাজার মানুষের জন্য একটি করে মসজিদ থাকা উচিত, এবং প্রতিটি মসজিদে অন্তত ২০টি মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। একটি প্রাণবন্ত ও সক্রিয় মসজিদ সামাজিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন দক্ষ ইমাম ও ধর্মীয় কর্মী প্রশিক্ষণ, গুণগত শিক্ষাসামগ্রী তৈরি এবং অন্যান্য উদ্যোগ।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, মসজিদের উন্নয়নে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। একটি শক্তিশালী ও সক্রিয় মসজিদ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়
তিনি আরও উল্লেখ করেন, তেহরান ইসলামি শাসনের প্রধান কেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও মসজিদের উন্নয়নে পিছিয়ে আছে। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি যৌথ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি, যার মধ্যে 'আমিন প্রকল্প' অন্যতম।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha